রোপণ পদ্ধতি

আজকে আমাদের আলোচনার বিষয়-রোপণ পদ্ধতি।যা “বৃক্ষ রোপণ ও পরিচর্যা” এর অন্তর্ভুক্ত।

রোপণ পদ্ধতি

 

রোপণ পদ্ধতি

 

গাছ লাগানোর জন্য বর্ষার আগে স্থান নির্বাচন করতে হবে। নির্বাচিত এলাকার আশপাশের ঝোপঝাড় পরিষ্কার করা চাই। জমি নিচু হলে ভরাট করতে হবে। কোথায় কোন গাছ লাগাবেন তার পরিকল্পনা করতে হবে। পরিকল্পনা অনুযায়ী রোপণের দূরত্ব স্থির করতে হবে এবং খুঁটি পুঁততে হবে।

বর্ষা শুরুর ১৫-২০ দিন আগে ১.৫-১.৫-১.৫ ফুট দৈর্ঘ্য- প্রস্থ উচ্চতা) পরিমাণ গর্ত খুঁড়তে হবে। গর্তের উপরের ও নিচের মাটি আলাদা করে রাখতে হবে। পরে উপরের মাটি নিচে এবং নিচের মাটি উপরে দিয়ে গর্ত ভরাট করা হবে। এরপর মজা গোবর বা কম্পোস্ট বা পচা সার ১ কেজি, টিএসপি (ট্রিপল সুপার ফসফেট) ২৫ গ্রাম, এসপি ১৫ গ্রাম ও ইউরিয়া ১০ গ্রাম গর্তে দিয়ে ভালোভাবে মাটির সঙ্গে মিশিয়ে নিতে হবে।

 

রোপণ পদ্ধতি

 

চারা রোপণের উপযুক্ত সময় ১৫ মে থেকে ১৫ আগস্ট। মাটি ভিজা থাকলে সেপ্টেম্বর- অক্টোবরেও চারা লাগানো যায়। সরকারি বা বেসরকারি নার্সারি থেকে চারা সংগ্রহ করে চারা লাগাতে হবে। নিচু জায়গায় পলিব্যাগে জমানো চারা লাগানোর উপযুক্ত সময় জুন থেকে জুলাইয়ের মধ্য পর্যন্ত। শিকড়সহ চারা মেঘাচ্ছন্ন দিনে লাগাতে পারলে সবচেয়ে ভালো হয়। স্ট্যাম্প চারা লাগাতে হয় মে মাসের প্রথম দিকে। উপকূলীয় এলাকায় বর্ষার পর সেপ্টেম্বর মাসে চারা লাগানো উত্তম।

পলি ব্যাগের চারা রোপণের সময় ব্যাগকে সাবধানে কাটতে হয় যাতে চারার শিকড় কাটা না পড়ে। ব্যাগ সরিয়ে ফেলতেই হবে। তবে খেয়াল থাকে যেনো চারার গোড়ার মাটি খসে না পড়ে। পটের চারার ক্ষেত্রেও এ ধরনের সাবধানতা অবলম্বন করতে হয়।

 

রোপণ পদ্ধতি

 

গর্তে চারা পোঁতার পর চারপাশ চেপে দিয়ে গোড়ার অংশে মাটি একটু উঁচু রাখা প্রয়োজন যাতে গোড়ায় পানি না জমে। চারা লাগানোর পর একে আলতোভাবে খুঁটির সঙ্গে বেঁধে রাখতে হয় যাতে চারা বাতাসের তোড়ে নুয়ে না পড়ে।

আরও দেখুনঃ

Leave a Comment