সামাজিক বনায়নের প্রয়োজনীয়তা

আজকে আমাদের আলোচনার বিষয়-সামাজিক বনায়নের প্রয়োজনীয়তা।যা “সামাজিক বনায়ন” এর অন্তর্ভুক্ত।

সামাজিক বনায়নের প্রয়োজনীয়তা

 

সামাজিক বনায়নের প্রয়োজনীয়তা

 

জনগণের তাৎক্ষণিক জ্বালানি ও কাঠের চাহিদা পূরণ, ভবিষ্যতে দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও পরিবেশ সংরক্ষণের স্বার্থে সামাজিক বনায়ন অপরিহার্য। সামাজিক বনায়ন যে সকল প্রয়োজন মেটায় তা হলো:

১. গৃহনির্মাণ ও আসবাবপত্রের জন্য কাঠের যোগান পান ও জ্বালানি কাঠের ঘাটতি পূরণ।

২. বনবিভাগের অধীন বনভূমি খুবই সীমিত। কাজেই, পতিত জমি, বসতভিটে, সড়ক, মহাসড়ক, রেলপথ, ধার, খাল ও নদীর পাড়, পুকুর পাড়, অফিস ও নানা প্রতিষ্ঠান ও স্কুল-কলেজের প্রাঙ্গণে বৃক্ষরোপণ।

৩. জ্বালানি কাঠের আগু চাহিদা পূরণে জনসাধারণকে দ্রুত বর্ধনশীল বৃক্ষরোপণে উৎসাহ প্রদান এবং গোবর ও কৃষি বর্জ্য ব্যবহারে উৎসাহ দান।

৪. বনভূমি উদ্ধার ও দারিদ্র্য বিমোচন। ঢাকা, ময়মনসিংহ, জামালপুর, দিনাজপুর ও রংপুর জেলাসমূহে নিম্নমানের শালবন অধিকাংশই বেআইনী দখলে রয়েছে। এখানে সামাজিক বনায়নের মাধ্যমে জমি উদ্ধার করা যায় এবং এই কাজে দরিদ্র জনগোষ্ঠীকে নিয়োজিত করে উৎপাদনশীল বনভূমি সৃজন।

৫. পশুখাদ্য, শাক-সবজি, ফলমূল, ভেষজ ও বিনোদনের জন্য বন সৃজন ।

৬. বনের সুফল ভোগ করার স্বার্থে বনায়ন (দুর্গম এলাকায় অবস্থিত বন মানুষের বিশেষ কাজে আসে না)

৭.ভূমির উর্বরতা বৃদ্ধি ও পানিতে জৈবসার সরবরাহ বৃদ্ধির লক্ষ্যে জমির আলে বনায়ন।

৮.২৭০০০০ হেক্টর অনাবাদী ও প্রান্তিক জমিতে বনায়ন।

 

সামাজিক বনায়নের প্রয়োজনীয়তা

 

৯.বন উৎপাদিত কাঁচামাল গ্রামীণ কুটির শিল্পে সরবরাহ করা ও জনগণের জন্যে কর্ম সংস্থানের ব্যবস্থা করা।

১০. বনায়নকে সফল করার লক্ষ্যে প্রশিক্ষণের মাধ্যমে নার্সারী স্থাপনে প্রেরণা দান (এতে গ্রামীণ দরিদ্র মানুষ কর্মসংস্থানের সুযোগ পাবে)।

১১. প্রাকৃতিক ভারসাম্য রক্ষা, পরিবেশ দূষণরোধ ও মরুবিস্তার রোধ করা। 

১২. ভূমির সুষ্ঠু ব্যবহার ও ভূমিতে উৎপাদনমুখী ফসল উৎপাদন নিশ্চিতকরণ;

১৩. ১৮০০০০ কিলোমিটার রাস্তা ও ৬০০০ কিলোমিটার বাধে বনায়ন।

১8. ৩০,৪০০ হেক্টর বসতভিটেয় বৃক্ষরোপণ:

১৫. পতিত চা বাগান ও সরকারি খাস জমিতে বনায়ন। 

১৬. ৫৮,০৯৪টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রাঙ্গণে বৃক্ষরোপণ ;

১৭. ১,৬৩,০০০ গ্রামীণ পুকুর পাড়ে ৪০, ৪০০০ একর পতিত জমিতে বনায়ন এবং

 

সামাজিক বনায়নের প্রয়োজনীয়তা

 

১৮. ইউনিয়ন কাউন্সিলের প্রশস্ত রাস্তা, মসজিদ-মন্দির-মা ও দীক্ষার প্রাণ, গোরস্থান, কবরস্থান, শ্মশান, উদ্যান, শিল্প-কারখানা এলাকা ও গোচারণ ভূমিতে বন সৃজন।

আরও দেখুনঃ

Leave a Comment