আজকে আমাদের আলোচনার বিষয়-কৃষি সম্পৃক্ত বনায়ন।যা “সামাজিক বনায়ন” এর অন্তর্ভুক্ত।
কৃষি সম্পৃক্ত বনায়ন
বহু শত বছর ধরে আমার উন্নয়ন ও বন উন্নয়ন আলাদাভাবে হয়ে আসছিলো। এই শতকের মাঝামাঝি সময়ে কৃষিভূমিতে বনসৃজনের বিষয়টি গুরুত্ব পেতে শুরু করে। কৃষি- সম্পৃক্ত বনায়নে একজন কৃষক একই সঙ্গে শস্যদায়ী উদ্ভিদ ও অন্যান্য উদ্ভিদ চাষ করতে পারেন।
কৃষ্ণ একই জমির কিছু অংশে শস্যদায়ী উত্তিন ও কিছু অংশে অন্যান্য উদ্ভিদের বন সৃজন করবেন। অথবা জলাজমির ধারে বা জলাজমিতে বন সৃষ্টির উদ্যোগ নেবেন কৃষক জমিতে আলের মতো সার করে বৃক্ষরোপণ করে, সারির মধ্যে বর্ষজীবী শস্য ফলাতে পারেন।
বৃক্ষের সারি যতোদিন না শস্যের জন্য আলো ছায়া ইত্যাদিতে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে ততোদিন সেগুলোকে না কেটে রেখে দিলে তাতে পশুখাদ্য ও জ্বালানি কাঠের সংস্থান হবে। কোনো কোনো উদ্ভিদের ফলও খাদ্য হিসেবে কাজে আসতে পারে।
শুখা মৌসুমে জমি শসা দেয় না, কিন্তু লাগানো বৃত্ত পরোক্ষে অর্থের সংস্থান করে এবং জমির সুষ্ঠু ব্যবহার নিশ্চিত হয়। শুখা মৌসুমে কৃষক বেকার। তখন এ সকল গাছের পরিচর্যায় কৃষক সময় বায় করতে পারেন। বর্তমানে পৃথিবীর অনেক দেশ এ ধরনের বনায়নের চমৎকার সাফল্য ভোগ করছে।
বাংলাদেশের কৃষকদের মধ্যে এ ব্যাপারে সচেতনতা সৃষ্টির আয়োজন নিলে তারা সহজেই উদ্বুদ্ধ হবেন। এ জন্যে সরকার ও বেসরকারি সংস্থানসমূহের ব্যাপক উদ্যোগ নেওয়া জরুরি। এটি করা সম্ভব হলে বছরের বেশির ভাগ সময়, অধিকাংশ জমি বিরান পড়ে থাকবে না। খাঁ খাঁ রোদে মাটি শুকিয়ে জমিতে ফাটল সৃষ্টি হবে না। গাছে গাছে পাখি ও পতঙ্গ বাসা বাধবে। গাছের পাতা ও পানি পতঙ্গের বিষ্ঠা ও অন্যানা বর্গা জৈবসারের যোগান দেবে।
মাটিতে বাসকারী প্রাণিকূল গাছের ছায়ায়, ভেজা মাটিতে নিরাপদ জীবনের আশ্রয় পাবে। গাছে বসা পাখি ও পতঙ্গ ফসলের কিছু ক্ষতি করলেও আখেরে কৃষকের মুনাফাই হবে বেশি।।
আরও দেখুনঃ